কক্সবাজারের পেকুয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৭/২৩ ও ০৮/২৩। মামলায় এজাহারনামীয় ১৫১ জন ও অজ্ঞাত ১০০০/১১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলা রেকর্ড করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সহিংসতা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হয় বারবাকিয়া বাজারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। জানাজা শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় পুলিশের ওপর হামলা। এ সময় আমিসহ ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। মামলার এজহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০০-১১০০ লোকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে একই পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনেও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ১৫১ জনের নামে উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০০-১১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পেকুয়া থানা পুলিশ এজাহারনামীয় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার বাদী ও পেকুয়া থানার এসআই মো. মুফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বারবাকিয়া বাজারে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে টহলে থাকা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি বাদী হয়ে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৫ আগস্ট বিকেলে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পেকুয়া থানা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়। এতে পেকুয়া থানার ওসিসহ পুলিশের ২০ সদস্য আহত হন।
মন্তব্য করুন