ফতুল্লার কাশিপুরে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর মারা গেছেন মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২২)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান সোনিয়া।
সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোনিয়ার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এখন ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে সোনিয়ার মেয়ে মেহজাবিন (৭) ও ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভাই টুটুল মণ্ডল (২৫)। তাদের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।
গত শুক্রবার ভোরে ফতুল্লা কাশিপুর এলাকায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরিত হয়ে তারা দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন- রিকশাচালক আব্দুস সালাম মণ্ডল (৫০), তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০), ছেলে মো. টুটুল হোসেন (২৫), মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২২) ও সোনিয়া আক্তারের মেয়ে মেহজাবিন আক্তার (৭)।
মৃত সালাম মন্ডলের ফুফাতো ভাই মো. আবিদ বিশ্বাস বলেন, সোমবার ভাইকে দাফন করে এসে পাই ভাবীর মরদেহ। বিনা ময়নাতদন্তে ভাবির মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নিয়ে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করি। এরইমধ্যে খবর এলো আরও এক মৃত্যুর সংবাদ।
সালামের ভাতিজা মো. আল আমিন বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায়। চাচা সালাম পরিবার নিয়ে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। সোনিয়া শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে মেয়ে মেহজাবিনকে নিয়ে বেড়াতে এসে ঘটনার শিকার হন।
মন্তব্য করুন