একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা কেন্দ্র করে চকরিয়ায় গত ১৫ আগস্ট সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। সহিংসতায় চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফজর আহমদের ছেলে ফোরকান ইসলাম (৫৫) নিহত হন।
সহিংসতার এসব ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৫ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ।
এর মধ্যে চকরিয়ার থানার এসআই মো. আল ফোরকান বাদী হয়ে দুটি এবং ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশের দুটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের দায়ে। আর নিহতের স্ত্রী হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চকরিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় আলাদা আলাদা তিনটি মামলা হয়েছে। এতে দুটি মামলার বাদী পুলিশ। অপর মামলাটির বাদী নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। পুলিশের দায়ের করা মামলা দুটিতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর নিহতের স্ত্রীর মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ।
মন্তব্য করুন