বরিশাল সদর উপজেলার টুংগিবাড়িয়া ইউনিয়নে আদালতের স্থিতাবস্থা জারি করা বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলায় বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানসহ জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের পাঁচ কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে টুংগিবাড়িয়া কাজলাকাঠি ও বাড়ৈকান্দি এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা বিবাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
মামলার বিবাদীরা হলেন- জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও টুংগিবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লিখিত সম্পত্তির স্বত্বের ঘোষণার প্রতিকারে দেওয়ানী মামলা করেন বাদী পক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বিবাদীপক্ষকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। তবে বিবাদীরা শোকজের জবাব না দেয়ায় আদালত চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল বিবাদী পক্ষের আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্ব স্ব দখল অনুসারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে গত ২৬ জুলাই বিবাদীপক্ষ আদালতে আপত্তি দাখিল করলে আদালত ওই দিনই দোতরফা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত ১৩ আগস্ট বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় বাদীপক্ষ আদালতের স্থিতাবস্থা বিষয়টি জানালেও তা মানতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তার। তাই আদালতে মামলা করে এ বিষয়ে সুবিচারসহ প্রতিকার চেয়েছেন বাদী পক্ষ।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমাদের কোনো কাজ শুরু হয়নি। টুংগিবাড়িয়ায় আমাদের দুটি কাজ চলামান রয়েছে। যা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ইতোপূর্বে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল, সেটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে আদালতের কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি, এমনকি কোনো ব্যক্তিও আমাদের কাছে আসেনি। আদালতের আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন