সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ন্যায্যমূল্য না পেলে গুনতে হবে লোকসান, দুশ্চিন্তায় পেঁয়াজ চাষিরা 

পেঁয়াজ তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। ছবি : কালবেলা
পেঁয়াজ তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। ছবি : কালবেলা

পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে নতুন পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। পেঁয়াজ উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। পুরো সিজনে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হবে পেঁয়াজ চাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে চাষিরা পেঁয়াজের মূল্য ভালো পাওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি (১২ হাজার হেক্টর) জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। দুই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চাষি ওহিদ মোল্যা ও গট্টি ইউনিয়নের চাষি জসিম মোল্যা জানান, পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৭০ হাজার থেকে প্রায় ৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৭০/৮০ মণ ফলন হয়। আর বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকা। খরচের চেয়েও কম মূল্য পাচ্ছে কৃষকরা। প্রতিমণ পেঁয়াজের মূল্য ২ হাজার টাকা হলে কৃষকরা কিছুটা লাভবান হতো। বর্তমানে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উপজেলার রায়হান শেখ নামে এক বর্গা চাষি কালবেলাকে বলেন, নিজস্ব জমিতে এ বছর প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদনে যদি ১১শ থেকে ১২শ টাকা খরচ হয়, তাহলে বর্গা চাষিদের দেড়গুণ খরচ হবে। তাতে প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ পড়বে ১৭শ টাকা থেকে ১৮শ টাকা। সর্বনিম্নে বাজারে ২ হাজার টাকা পেঁয়াজের দাম হলে চাষিরা দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাঁচতে পারতো। পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষিরা।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, এ বছর পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি থাকায় এবং অধিক সেচের প্রয়োজন হওয়ার উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজস্ব জমিতে উৎপাদন ব্যয় মন প্রতি ৯০০ টাকার কাছাকাছি এবং লিজ/বর্গা জমিতে ১৩০০ টাকার কাছাকাছি। মৌসুমের শুরুতে দাম কম থাকলেও আশা করা যায় পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট হতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ ক্রয়ের উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশাবাদী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাবার অটোরিকশায় মাদ্রাসায় যাচ্ছিল মেয়ে, পথেই প্রাণ গেল দুজনের

ফি দিলেও হয়নি ফরম পূরণ, পরীক্ষা অনিশ্চিত মোশাররফের

ইরান-ইসরায়েল পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের শর্ত

গুমে নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরকার মতানৈক্য ও বিদেশি সংযোগ পেয়েছে কমিশন

যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি করছেন’ ট্রাম্প, ইরানের দাবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শতফুট গভীর খাদে বাস

‘গোল’ নয়, ‘গল্প’ লেখেন যিনি—জন্মদিনে সেই মেসিকে শ্রদ্ধা

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরু

রাশিয়ার মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল মার্কিন দূতাবাস

ধর্ষণ মামলায় কৃষকদল নেতা কারাগারে, পদ স্থগিত

১০

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মায়ামি, সামনে এবার পিএসজি

১১

বি-২ বোমারু বিমানকে যুদ্ধবিরতির ক্রেডিট দিলেন ট্রাম্প

১২

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া শরীরে জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর

১৩

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর বদলে গেল তেলের বাজার

১৪

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা, সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

১৫

ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন নারী

১৬

ন্যাটো সম্মেলনে যাবেন না জাপান-কোরিয়ার সরকারপ্রধান

১৭

রিউমর স্ক্যানার / মেট্রোরেল দুর্ঘটনার দাবিতে প্রচারিত ভিডিও সর্ম্পকে যা জানা গেল

১৮

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যে ইসরায়েলে চলছে ‘ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি’, নিহত ৩

১৯

ইরানে আটকে পড়া বিদেশিদের সুখবর দিল কুয়েত

২০
X