জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে একবিঘা ফসলি জমির আধাপাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পোগলদিঘা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ জানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী কৃষক সামাজিকভাবে কোনো বিচার না পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোগলদিঘা ইউনিয়নের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রউফ তার কওলাকৃত ৩৩ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছিল। সেই রোপিত বোরো ধান আধাপাকা অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল ভোরে পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন ও তার সহযোগীরা কেটে নিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুর রউফ পেয়ে প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতা ফরহাদ হোসেন ও তার অনুসারীরা রউফের ভাই ফরিদ মেম্বারকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে ফরিদ মেম্বারের মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ফরহাদকে রঘুনাথপুর এলাকায় আক্রমণ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, আমি ১৯৮৪ সালে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত গোলাপ সরকারের ছেলে আব্দুল আজিজ ও আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ জমি বিআরএস রেকর্ড মূলে ‘সাব কওলা’ দলিল করে ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি টাকুরিয়া গ্রামের গিয়াস ও ফরহাদ হোসেনের অনুসারীরা আমার দখলীয় জমি বেদখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ এপ্রিল ভোরে চলতি বোরো মৌসুমের রোপিত আধাপাকা ধান কেটে নিয়ে যায় তারা। আমি গ্রাম্যভাবে বিচার চেয়ে পাইনি। তাই থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এ জমি নিয়ে আদালতে একটি রেকর্ড ভাঙ্গা মামলা চলমান রয়েছে। তারা আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে ধান রোপন করেছিল। আমরা কোন বিবাদ চাই না। আমাদের ন্যায্য ভূমি ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. চাঁদ মিয়া বলেন, ‘উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন