ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে মোশাররফ হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোশাররফ হোসেন ওই গ্রামের শমসের মোল্লার ছেলে।
আহতরা হলেন- আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মে. নাহিদ। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ শিকদার এবং তার ভাগনে আবু সাঈদ শিকদারের নেতৃত্বে দুটি সামাজিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৫ আগস্টের পর উভয় গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় বিএনপির নেতাদের গ্রুপে যোগ দেন। এতে উভয় গ্রুপের মাঝে নতুন করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে গত মঙ্গলবার উভয়পক্ষ একবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বুধবার দুপুরে বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের অনুসারী আহম্মদ আলীর লোকজন যুবদল নেতা সাহাবুল মোল্লার অনুসারী আলিমুদ্দীন গ্রুপের সদস্য মোশাররফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাতজনকে জখম করে। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মোশাররফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে শহীদ শিকদারের লোকজন বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের পক্ষ অবলম্বন করেছে। অন্যদিকে সাঈদ শিকদারের অনুসারীরা যুবদল নেতা সাহাবুল মোল্লার পক্ষে আছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস কালবেলাকে বলেন, পুরোনো বিরোধের জেরে মঙ্গলবার উভয়পক্ষ একবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মূলত তারই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া কালবেলাকে বলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়, মূলত সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন