রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় কৃষকরা

রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে আমন চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে আমন চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাঙ্গুনিয়ায় গুমাই বিলে আমন চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, এই বিলে রোপণকৃত ১৭৫০ হেক্টর আমন চারার মধ্যে এবারে বন্যায় ৩০ শতাংশ ক্ষতি এবং ২০ শতাংশ জমির ক্ষতি হয়েছে। এতে তাদের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহত্তর এই গুমাইবিলে এবার ৩৫০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল। বন্যার আগে কৃষকরা তীব্র খড়ার কারণে বৃষ্টির পানি না পেয়ে বাড়তি টাকা খরচ করে সেচ দিয়ে বিলের ৫০ শতাংশ জমিতে আমন আবাদ করেছিল। কিন্তু টানা ১০ দিনের ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে এই আবাদ ছয় ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি নেমে গেলে গুমাই বিলে রোপণ করা ধানের চারার মধ্যে ৩০ শতাংশ জমির চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যায় এবং আংশিক ক্ষতি হয় বাকি ২০ শতাংশ জমির আবাদ। এই জমিতে ব্রি ধান ৫১ আবাদ হওয়ায় সম্পূর্ণ জমির ধান নষ্ট হয়নি। বন্যার এই ক্ষতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করে কৃষকরা। বর্তমানে গুমাই বিলে আবাদের লক্ষমাত্রার প্রায় শতভাগ জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যা পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করে কৃষকরা নতুন করে আমন ধান লাগিয়েছেন। আবার অনেক কৃষক যখন বন্যায় আক্রান্ত হয় তখন নতুন করে বীজতলা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে নতুন জমিতে এবং নষ্ট হওয়া জমিতে ওই চারা দিয়ে আমন আবাদ করেছেন। এক্ষেত্রে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন এবং কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

গুমাই বিলের বড় কৃষক মো. মোকাররম বলেন, যদি সরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা পেতাম আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো। এবার ৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করেছি। তারমধ্যে চার হেক্টর জমি পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবারও চারা লাগিয়েছি।

গুমাইবিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, সময়মতো বৃষ্টির দেখা না মেলায় অনেক কৃষক সেচ পাম্প দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছিল। এরপর বন্যা শুরু হলে অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে বন্যা চলাকালীন সময়েই কৃষকদের দিয়ে আবারও বীজতলা তৈরি করিয়েছি। এতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকরা নবোদ্যমে চাষাবাদের ক্ষেত্রে চারার সংকট হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, চলতি আমন মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ার ১৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ থেকে যাতে লাভবান হতে পারেন, সেজন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপনের প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের

হাজার হাজার মার্কিনি নিচ্ছেন মেক্সিকোর নাগরিকত্ব

যাদের জনসমর্থন নেই, তারাই পিআর চায় : এসএম জাহাঙ্গীর

আরও একটি ট্রফি হাতছাড়া রোনালদোর

জাতীয় সনদে জনআকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে : আ স ম রব

ভালো কাজের প্রতিযোগিতার আহ্বান সাদিক কায়েমের

মানুষ কেন হাই তোলে? গবেষণায় জানা গেল নতুন তথ্য

বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নে‌ত্রী : ফরহাদ মজহার

মওলানা ভাসানী সেতুর বিদ্যুতের তার চুরি, থানায় মামলা

১২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১০

কাঠগড়ায় টুলে বসলেন মাইটিভির নাসির, ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে ক্ষোভ আনিসুল-মেননের

১১

মির্জা ফখরুলের কাছে যেসব প্রশ্ন রাখলেন ফুয়াদ

১২

মেঘনার দুই ইলিশ বিক্রি সাড়ে ১১ হাজার

১৩

ভারত বুঝতে পেরেছে, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বটা কেন দরকার

১৪

নারী বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা

১৫

ভারতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে যে কারণে ‘সাপ’ বলেছিলেন মাস্ক

১৬

গোলকিপারের দুঃস্বপ্নের অভিষেকে ঘরের মাঠে সিটির হার

১৭

জাম্বুরা ফল কারা খেতে পারবেন না, জানালেন চিকিৎসক

১৮

যারা পিআর চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন : সালাহউদ্দিন

১৯

সন্তানকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া কি জায়েজ

২০
X