নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণ মামলায় আ.সালাম নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আ. সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রেজাউল করিম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ব্যবসার সুবাদে আসামি আ. সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে আসামি বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করত। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামি আ. সালাম ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাত। ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে আ.সালাম ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোজাফফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিকটিমের বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব আসামিকে গ্রেপ্তার ও শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। পরে তদন্ত কর্মকর্তা আ.সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আ. সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আ. সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
মন্তব্য করুন