নেত্রকোনার বারহাট্টায় জুলাই আন্দোলনে আহতদের তালিকায় নুরুল আমিন নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীর নাম দেখা গেছে। এ ঘটনায় সেই তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, বারহাট্টা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল আল মামুন, সদস্য সচিব মুন্নাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নুরুল আমিন উপজেলার আসমা ইউনিয়নের সক্রিয় ছাত্রলীগের কর্মী। সে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলার সময় সে সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হলে সারা দেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের তালিকা হয়। সে তালিকায় ভুলক্রমে নুরুল আমিনের নাম চলে আসে।
বিষয়টি নিয়ে বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইমুন আরেফিন অঙ্গন বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগের পরও নুরুল আমিনের নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতের সহযোগিতার চেক চলে আসে। তাই আমরা সবাই চাই বিষয়টি সম্পর্কে যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
এ ব্যাপারে নুরুল আমিনের বাবা মো. শহীদ মিয়া বলেন, আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। সে ৪ আগস্ট ঢাকা যেতে চেয়েছিল। পরে বারহাট্টায় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়। পরে সময়ে বারহাট্টা হাসপাতাল থেকে লোক এসে যাচাইবাছাই করে আমার ছেলের তালিকা পাঠায়।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান কালবেলাকে জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উপকারভোগীর তালিকা থেকে নুরুল আমিনকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন পাঠাই। এর পরও নুরুল আমিনের নামে আহতদের সহযোগিতার চেক চলে আসে। তবে চেকটি হস্তান্তর করা হয়নি। চেকটি ফেরত পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন