লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমতে শুরু করলেও ভোগান্তি কমেনি নদী পাড়ের মানুষের। পানি বাড়ায় চরের রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চরের নিম্নাঞ্চলে বসবাস করা পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এ ছাড়া ডুবে যাওয়া আমন ক্ষেত থেকে পানি সরে গেলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এর আগে ২৭ আগস্ট ভোর ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী ও সানিয়াজান সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, বাগডোরা, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এখন পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এখনো কিছু বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জেগে ওঠা রাস্তায় জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় পানিতে ডুবে রয়েছে আমন ক্ষেত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকরা।
পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের জাহিদুল কবির বলেন, দুদিন থেকে পানিতে ডুবে ছিল আমন ক্ষেত। কিছু ধানগাছে পচন ধরেছে। এখন ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, ভোর ৬টা থেকে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল কম আসায় দ্রুত কমেছে তিস্তা নদীর পানি। এখন বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন