চলতি বছর কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে বগুড়ার ডন। শাহিওয়াল ক্রস জাতের কালো রংয়ের ডনের ওজন ১১০০ কেজি। বিশাল আকৃতির এই গরু ইতোমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। এই গরুর খবর পেয়ে অনেকেই আসছেন খামারে, দামও বলছেন। তবে দামটা সন্তোষজনক হলেই বিক্রি করবেন তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল।
রবিউল ইসলাম শিমুল কালবেলাকে জানান, ডনকে দেশীয় প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। খাবারের মধ্যে রয়েছে- ভুসি, ছোলা, ধানের কুঁড়া, খড় ও ঘাস। শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন গোসল করানো হয়। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ার ডন প্রতিদিন ১২শ থেকে ১৫শ টাকার খাবার খায়।
শান্ত স্বভাবের গরুটিকে সন্তানের মতোই লালন পালন করেছেন খামারি। ১১শ কেজি ওজনের বগুড়ার ডন মোটাতাজাকরণে কোনোরকম ওষুধ ছাড়াই শুধু প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠেছে। গরু দেখতে প্রতিদিনই লোকজন আসছে খামারে। এবারে কোরবানির হাটে জেলার সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় গরু এটি।
বগুড়া সদরের এরুলিয়ার দোগাড়িয়া গ্রামে উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুলের খামার এটি। এখানে রয়েছে শাহীওয়ালসহ দেশি জাতের বড় বড় ১৫টি গরু। তবে সবার দৃষ্টি এখন কালো রংয়ের বিশাল দেহী গরুটির দিকে। শান্ত ও নম্র স্বভাবের এই গরু গেল দুই বছর আগে রাজশাহী থেকে কিনে আনেন খামারি শিমুল। খড়, ভুষি, ধানের গুড়া, ভাত খাইয়েই পালন করছেন দুই বছর ধরে।
আড়াই লাখ টাকায় কেনা গরুটি এখন বিশাল আকৃতির হয়েছে। ১ টনের বেশি ওজনের গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা, তবে ১২ লাখ টাকা হলেই খামারি শিমুল এটি বিক্রি করবেন। খামারে আরো ১৪টি গরুর চেয়ে এটি আলাদা, নম্র-শান্ত স্বভাবের হওয়ায় এই গরুর যত্ন নেওয়া খুবই সহজ, একারণে সন্তানের আদরে লালন পালন করেছেন। খামারি শিমুলের ছেলে আদর করে গরুর নাম রেখেছেন বগুড়ার ডন।
জেলার সবচেয়ে বড় গরু এটি দাবি করে খামারি জানান, হাটে এটিই সেরা আকর্ষণ হবে, এরই মধ্যে খামারে এসে অনেকেই দাম বলেছেন, যেকোনো সময় বিক্রি হতে পারে গরুটি। তার খামারে অন্যান্য গরুগুলোও খুব যত্ন করে পালন করা হয় সেগুলো এবার বিক্রি হবে। সবগুলো গরু বিক্রি হবে দামও বেশ ভালো পাবেন বলে জানান এই খামারি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুইটি সিলিং ফ্যানের নিচে ডন দাঁড়িয়ে ঘাস খাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমের কারণে তার গায়ে দেওয়া হচ্ছে পানি। ডন এবার এ উপজেলা সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু বলে দাবি করছেন তিনি। বিশালদেহী ডন কে দেখতে শত শত মানুষ প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছে।
এলাকার রিকশাচালক জহুরুল ইসলাম বলেন, গরুটি দেখতে শুনতে অনেক ভালো। এত বড় গরু আগে কখনো দেখিনি। শিমুল তাকে সন্তানের মতোই লালন পালন করেছেন।
বগুড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওায়হান কালবেলাকে বলেন, সদরের এরুলিয়ার দোগাড়িয়া গ্রামে উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুলের খামার গরুটি প্রাকৃতকিভাবেই লালন পালন করা হয়েছে আমরা সাধ্যমতো তাকে বুদ্ধি পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস তিনি পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পাবেন।
মন্তব্য করুন