খুলনায় ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত মামুনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই শিশু কন্যাটির মা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী হওয়ায় আসামি মামুন এবং শিশুটির পরিবার পাশাপাশি বসবাস করে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে মামুন ওই শিশুটিকে দোকান থেকে চা এবং রুটি ক্রয় করতে বলে। তার কথা অনুযায়ী শিশুটি দোকান থেকে চা-রুটি নিয়ে মামুনের বাসায় যায়। এর কিছুক্ষণ পর কোথাও খুঁজে না পেয়ে ওই শিশুটির মা তাকে খুঁজতে মামুনের বাসায় যায়। জানতে চাইলে সে কোনো উত্তর না দিয়েই শিশুটির মায়ের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে।
একপর্যায়ে মামুনের শয়নকক্ষে রাখা চালের ড্রাম থেকে শিশুটি মা বলে ডাকতে থাকে এবং চালের ড্রামের মধ্যে থেকে শিশুটিকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশুটি কিছুটা সুস্থ হলে মায়ের কাছে বলে মামুন বুধবার সন্ধ্যায় কৌশলে শয়নকক্ষে ডেকে নেয়। এরপর বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সে। পরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে মামুন। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কৃতকর্ম গোপন করার জন্য মামুন তাকে শয়নকক্ষের মধ্যে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে আটকে রাখে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামুনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
খুলনা থানার এসআই শহিদ কালবেলাকে বলেন, রাতে নির্যাতনকারী মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি কর্তৃপক্ষ সবকিছু সংগ্রহ করেছে। তবে ডিএনএ রিপোর্টে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। কন্যা শিশুটি দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক সুমাইয়া কাওসারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আসামি মামুনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন