১৮ কেজি পাতি উত্তোলনের পরিবর্তে ২০ কেজিতে নিরিখ করার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চা বাগানে বিক্ষোভে নারী শ্রমিকরা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন শ্রমিকরা।
একই দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে ওই বাগানের শত শত নারী শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছিলেন।
আজ সকাল থেকে আবারও চাতলাপুর চা বাগানের নারী চা শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ব্যবস্থাপক ও অফিস কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করে।
চা শ্রমিকরা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চা বাগানের টিলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাতি উত্তোলন করতে হয় তাদের। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কেউ নিরিখ পূর্ণ করতে পারে আবার কেউ নিরিখ পূর্ণ করতে পারেন না। নিরিখের চেয়ে ১ কেজি কম হলে ১০ টাকা কেটে রাখা হয়। আর এক কেজি বেশি তুললে দ্বিগুণ দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত মাত্র ৪ টাকা পাওয়া যায়।
চা শ্রমিকরা আরও জানান, সম্প্রতি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৮ কেজির স্থলে ২ কেজি বাড়িয়ে ২০ কেজিতে নিরিখ করে নারী শ্রমিকদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিবাদে গত শনিবার সকাল থেকে চাতলাপুর চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করেন ও অফিসের সম্মুখে বিক্ষোভ করেন নারী চা শ্রমিকরা। আজ আবারও চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে ফটকে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
আন্দোলনরত নারী শ্রমিক মিতা বাউরী, কুন্তি রবিদাস, বিনতি বাউরী, কমলা মৃধা, রিপা ইন্দোয়ার, বাসন্তী বাউরী, সাবিত্রি বৈদ্য, চা বাগান ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে কর্মবিরতি পালনের কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের ন্যায্য দাবি না মানলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
চাতলাপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রায় সব বাগানে শ্রমিকরা ২০ কেজি করে চা পাতা তুলছেন কিন্তু আমাদের বাগানের শ্রমিকরা ১৬-১৮ কেজি করে তুলছেন। আমরা শুধু বলেছি একটু বাড়তি তুলার জন্য। বাগানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলে গতকাল লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলনের খবর পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছেন বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন