রাজশাহীতে নিখোঁজের ২০ দিন পর চিত্তরঞ্জন পাল নামের এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ মে) সকাল ৯টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নিহত যুবকের বাড়ির পাশে শিবনদী থেকে তার বস্তাবন্দি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
চিত্তরঞ্জন পাল (২৬) তানোর পৌরশহরের হাবিবনগর পালপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন পালের ছেলে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- চিত্তরঞ্জন পালের প্রেমিকার বাবা স্বপন কুমার, মা ছবি রানী এবং চাচাতো ভাবি কাজল রানী।
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত চিত্তরঞ্জন পালের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী স্বপন কুমারের মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চিত্তরঞ্জন পালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৭ এপ্রিল রাতে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় চিত্তরঞ্জন পাল। ওই রাতে তিনি যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরের ফ্যান ও লাইট জ্বলছিল। সকালে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, চিত্তরঞ্জন পাল ঘরে নেই এবং ঘরের লাইট ও ফ্যান জ্বলছে। এরপর থেকেই ওই যুবককে আর খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। পরে নিখোঁজ যুবকের সঙ্গে যে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেই মেয়েটিকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় নিখোঁজ চিত্তরঞ্জনের বাবা মনোরঞ্জন পাল তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আফজাল হোসেন আরও বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর এটি তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন অভিযুক্ত প্রেমিকার ভাইকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার বোনসহ প্রেমিক চিত্তরঞ্জন পাল পালিয়ে গেছে বলে জানান।
ওসি বলেন, শনিবার সকালে নদীতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলে নিহত যুবকের পরিবার পরনের লুঙ্গি ও গায়ের গেঞ্জি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেন যে, এটি চিত্তরঞ্জনের মরদেহ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের বাবা মনোরঞ্জন পাল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
আফজাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত চিত্তরঞ্জন পালের অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার ভাই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামিদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন