সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পড়াশোনা কম জানায় প্রশিক্ষণার্থী নারীকে অপদস্থ করলেন কৃষি কর্মকর্তা

কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী। ছবি: কালবেলা
কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী। ছবি: কালবেলা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ চলাকালে পড়াশোনা কম জানায় জহুরা খাতুন নামের এক নারী প্রশিক্ষণার্থীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষি কর্মকর্তা মো, কাইয়ুম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১৮ মে) দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সম্মেলন রুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পূর্ব ধনারচর গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর স্ত্রী

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসএসিপি রেইঞ্জ প্রকল্পের আওতায় নারী কৃষাণীদের শাক-সবজি, গবাদিপশু পালন বিষয়ে চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ভুক্তভোগী জহুরা খাতুনও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু পড়াশোনা কম জানায় তাকেসহ আরও চারজনকে প্রশিক্ষণ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী জহুরা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শাক-সবজি, ধান ও পাট কীভাবে আবাদ করতে হয় এ বিষয়ে প্রশিক্ষণে আমার নাম হয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনা কম জানায় প্রশিক্ষণে নিয়ে আমাকে রাগারাগি করে অপমান অপদস্থ করে রুম থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা আবাদ করি, এ প্রশিক্ষণ নেওয়া আমাদের খুব দরকার। প্রশিক্ষণ পেলে শাক-সবজি ও গবাদিপশু পালন সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারতাম। আমি টাকা দেইনি তাই প্রশিক্ষণ থেকে লাঞ্ছিত করে বের করে দিয়েছে। এটার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায়বিচার চাই এবং আমার ট্রেনিং চাই।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, পড়াশোনা কম জানায় ওই নারীসহ আরও চারজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই নারীর সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। প্রশিক্ষণের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তকরণে কোনো ধরনের টাকা-পয়সা লেনদেন করা হয় না। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জুনিয়র অফিসারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। ওই নারী ভেবেছে আমি তাকে বলেছি। এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমি আমার জুনিয়র অফিসারদের খারাপ আচরণ করতে পারি।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের যে ট্রেনিংগুলো হয় সেগুলো সম্পূর্ণ পারিবারিক ট্রেনিং। যেসব নারীরা পারিবারিক কাজে থাকে তারাই এখানে আসে। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় এখানে নেই।

খারাপ আচরণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে আসলে খারাপ আচরণ করা ঠিক নয়, সে যেই হোক। তারপরও বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি

রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা

পবিত্র আশুরা ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয় : বিএনপি নেতা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের দোয়া ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নৌপথে চাঁদাবাজি, যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

ইউএনও’র বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন আ.লীগ নেতা, অতঃপর...

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, এক জনের কারাদণ্ড

বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেট যাচ্ছেন কাল

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১০

এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

১১

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

১২

সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী

১৩

এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৪

পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

১৫

অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড

১৬

৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল

১৭

চিলমারীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পুলিশের টহল জোরদার

১৮

সবার প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান

১৯

‘ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে’ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন : হাসনাত

২০
X