অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সাবমেরিন সংযুক্তিসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে রক্ষা করার কাজে নৌবাহিনীকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। সকল বন্দর নিয়ে একটি পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হচ্ছে।
রোববার (২৫ মে) সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানৌজা শেরে বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন নাবিকদের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্য করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আপনারা দেশ মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত আছেন, থাকবেন। আপনাদের উপরে সমুদ্রের নিরাপত্তা নির্ভর করছে। সেদিন দূরে নয় যখন আমরা দেশের ২০০ নটিকেল মাইল সমুদ্রসীমার বাইরেও নিরাপত্তা দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, নৌবাহিনীর এ ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নবীনরা ভবিষ্যতে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জন করবে। দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন নাবিকসহ সকল নৌ-সদস্যকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
এর আগে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর ২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. গালিব আল মাহাদী অর্ণব পেশাগত ও সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জন করে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. হাসিব হোসেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. নাঈম গাজী তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করে।
শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন