বগুড়ায় ডাকাতি মামলার রায়ে অভিযুক্ত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ডাকাতিকালে মৃত্যুর ভয় দেখানোর দায়ে আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসাদিদের উভয় ধারার একত্রে চলবে বলেও রায়ে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ এ মামলার রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত চার আসামিরা হলেন- নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার হিজলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ, সিংড়া গোডাউন পাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে সুজন মিয়া, বগুড়ার কাহালু উপজেলার দেওগ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত আফতাব হোসেন ওরফে আতাবের ছেলে বুলবুল হোসেন ও দুর্গাপুর মন্ডল পাড়ার মৃত তহির উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম সখিন। এই মামলার অপর ৯ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেএম হুমায়ন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুরের ব্যবসায়ী হাফিজার রহমানের ক্রয়কৃত ৪ লাখ ৫১ হাজার ৩৯০ টাকা মূল্যের ২৬৩ বস্তায় ৫২৬ মণ ধান নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ছাতুনী হাট থেকে ট্রাকযোগে শেরপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। ধানবোঝাই ট্রাকটি বগুড়া নওগাঁ সড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বাবুর বাগান নামক স্থানে পৌঁছালে ডাকাতদল মাইক্রোবাস নিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে ট্রাকচালক ও হেলপারকে হত্যার ভয় দেখিয়ে হাত মুখ বেধে রেখে ট্রাকটি ও চালক হেলপারের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানায় ওই ব্যবসায়ী হাফিজার রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদী রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেএম হুমায়ন কবির এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম হিরা ও অ্যাডভোকেট চান।
মন্তব্য করুন