লালমনিরহাটে বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ঘটনার সাড়ে ৬ বছর পর জি এম কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার সাড়ে ৭ বছর পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরসহ ১৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (০২ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন খলিলুর রহমান নামের ওই পোলিং এজেন্ট।
বাদী খলিলুর রহমান পৌরসভার সাধুটারী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তিনি বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক প্রার্থী জি এম কাদের, তার স্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খলিলুর রহমানকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয় শুনে ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘লাশ হয়ে ফিরতে হবে’। এরপরও খলিলুর রহমান দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটকেন্দ্রে যান। পরে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জি এম কাদের ও শেরিফা কাদেরের নির্দেশে কয়েকজন তাকে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালাগাল করেন। উপস্থিত লোকজন পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এজাহারে বলা হয়, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। স্বৈরশাসকদের ভয়ে কোথাও মামলা করার সাহস পাননি তিনি। এ কারণে মামলা করতে এত বিলম্ব হয়েছে।
মামলার বাদী খলিলুর রহমান জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে জি এম কাদের ফ্যাসিস্ট সরকারের বৈধতা দিয়েছে। তার নির্দেশেই আমাকে ভোটকেন্দ্র থেকে ভয়ভীতি ও মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী জানান, ‘ মারধর, সাধারণ জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন