গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার (০৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ কালবেলাকে রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার রামভদ্র খানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (০৬ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি মাছের খামার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় গানডার বিল খানাবাড়ি এলাকায় ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইলিয়াসকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে ইলিয়াসকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে একজনের প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস বলেন, সুন্দরগঞ্জের মজিবরের ছেলে যুবলীগকর্মী সুমন, ডাকুয়ার ছেলে যুবাইর ও তালেবের ছেলেসহ ৪ জন মিলে লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তিনি দাবি করেন, তাকে অন্তত ২০০ বার আঘাত করা হয়েছে।
স্থানীয় আসাদ মিয়া বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। ইলিয়াস ভাই বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
তিনি জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নিহত ইলিয়াসের ভিডিওতে নাম আসা যুবলীগের সুমনের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মন্তব্য করুন