ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ঈদের সারাদিন বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন স্থানীয় ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। শহরের বড় ব্যবসায়ীদের হাতে চামড়া বিক্রির আশায় সেগুলো একত্রে করলেও দুদিনেও মেলেনি কোনো চামড়া ক্রেতার দেখা। এতে একপ্রকার বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৮ জুন) পর্যন্ত ছাগলনাইয়া পৌরশহরে দেখা মেলেনি কোরবানির চামড়া ক্রেতাদের।
এতে স্থানীয় ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এবার আমরা চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছি। বিগত ১৫ বছর ধরে লোকসান টানতে হয়েছে চামড়ার ব্যবসায়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ শাসনামলে চামড়া ব্যবসা চলে যায় প্রভাবশালীদের হাতে।
স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, ঈদের দিন কর্মচারী খাটিয়ে গ্রাম-গঞ্জ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে একত্রিত করলেও কোনো ধরনের ক্রেতা বা ব্যবসায়ী মিলছে না। ধারণা করছি, কোনো বড় ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। দু-দিন হতে চলছে এখন পর্যন্ত কোনো চামড়া ব্যবসায়ী আমাদের কাছ থেকে চামড়া কিনতে আসেনি। মনে হচ্ছে, আজকে দুপুরের মধ্যে যদি কোনো ক্রেতা ব্যবসায়ী না পাওয়া যায় তাহলে জঙ্গলে অথবা নদীতে কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দিয়ে আসতে হবে।
এদিকে ফেনীতে কোরবানির পশুর চামড়া সরকারের দেওয়া দাম ১০৫০ টাকা নির্ধারণ করলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৭-৮শ টাকা করে খুচরা ক্রয় করেছেন বলে জানা যায়।
ফেনী ৪-বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন কালবেলাকে জানান, এবার বাংলাদেশের কোরবানির পশুর চামড়ার ওপর বিশেষ নজর রাখছে বিজিবি। কারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে- প্রতিবার সিন্ডিকেট করে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে প্রচার হয়ে যায়। তাই এবার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে ঈদের পরের দিন রোববার শুনতে পাচ্ছি কোনো ধরনের চামড়া ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত চামড়া কিনতে আসেনি তাই স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন