সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে রোজিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার পর তার স্বামী মোতালেব হোসেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ গ্রাম থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রোজিনা খাতুন এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে। তার স্বামী মোতালেব হোসেন একই উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন মোতালেব।
নিহত রোজিনার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে মোতালেবের সঙ্গে রোজিনার বিয়ে হয়। এ বিয়ে মোতালেবের পরিবার মেনে না নেওয়ায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তাদের সংসারে ৮ মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। মোতালেব ফেনীতে রাজমিস্ত্রির কাজ শেষে সপ্তাহখানেক আগে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (১১ জুন) রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ভোররাত রাত আড়াইটার দিকে পাশে ঘর থেকে বায়েজীদ নামে রোজিনার এক ভাতিজা কান্নার শব্দ পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে তার ফুপুর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। পাশেই কাতরাচ্ছেন মোতালেব। ৮ মাস বয়সী শিশুটিও কান্নাকাটি করছে।
জাহিদ বলেন, এ ঘটনা দেখে বায়েজীদ চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা খুলে রোজিনার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে আহত মোতালেব হোসেনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোজিনার বাবা আব্দুল আজিজ অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ে ও জামাই আমাদের বাড়িতেই থাকতো। জামাই মোতালেব রোজিনার ওপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে সকালে রোজিনার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী আহত মোতালেবকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন