ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতি এলাকায় আইনজীবী ও ডিবি পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। আইনজীবীর সামনে থেকে তার মক্কেলকে তুলে নিতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৭ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমনে এ ঘটনাটি ঘটে।
আইনজীবীর সঙ্গে ডিবির ধস্তাধস্তির ঘটনায় উপস্থিত লোকজন ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, আইনজীবীর মক্কেলদের টানাহেঁচড়া করছেন সাদা পোশাকের একদল পুলিশ সদস্য। ডিবি লেখা কোটি পরা কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। আইনজীবী বাধা দিতে চাইলে তাকেও কয়েকজন আটকানোর চেষ্টা করা হয়। পরে আইনজীবীকে ধরে টেনে ডিবি কার্যালয়ের দিকে নিতে দেখা যায়।
আইনজীবী রাসেল তালুকদার বলেন, গৌরীপুরে একটি হত্যা মামলার শুনানি শেষে আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের সামনে গেলে সেখান সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা মামলাটির আসামিদের তুলে নিতে চেষ্টা করে। তখন আমি বাধা দিয়ে বলি, উনাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। কিন্তু ডিবি আমার কোনো কথা না শুনেই টানাহেঁচড়া করে আমাকে ও আমার মক্কেলদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। আমাকে লাঞ্ছিত করে।
ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মো. লিয়ন সরকার (২৫) ও তার ভোট ভাই রিপন সরকার (২২)। তারা দুজন গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
২০১৮ সালে হত্যা মামলায় তারা দুজন আসামি থাকলেও জামিনে রয়েছে। মো. লিয়ন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দাবি করলেও কোনো এলাকায় রাজনীতি করে এবং তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ডিবি পুলিশের ওসি মহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লিয়নকে ধরা হয়। এ সময় বাধা দেওয়ায় আইনজীবীকেও নিয়ে আসা হয়েছিল।
ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব সৈয়দ সাদউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে ডিবি পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে আমরা ডিবি পুলিশের কাছে গিয়ে আলোচনা করে আইনজীবীকে নিয়ে এসেছি, বিষয়টি মিটে গেছে।
মন্তব্য করুন