ঝালকাঠি সদর উপজেলায় একটি বড় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গাছটি শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ও প্রজননের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে একদল মানুষ গুয়াটন এলাকার একটি বিশাল তালগাছ কেটে ফেলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব গুয়াটন গ্রামের মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির তালগাছটিকে দীর্ঘদিন ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল। গাছটি মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ক্রয় করে কেটে ফেলেন। তারা শুধু গাছটিই কেটে ক্ষান্ত হননি, বাবুই পাখির শতাধিক ডিম, অর্ধশতাধিক বাচ্চা মেরে ফেলে।
এ ঘটনায় রোববার (২৯ জুন) পরিবেশ আইন অনুসারে বন বিভাগ বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তাল গাছ কাটার অপরাধে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোবারেক আলী ফকির তার জমির পাশে থাকা তালগাছটি মিজানুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাছের ক্রেতা শুক্রবার গাছটিকে কেটে ফেলেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গাছ কাটায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া পাখির বাসা ধ্বংস করার দায়ে বন বিভাগ বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস করে আইন লঙ্ঘন করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বন বিভাগ বরিশালের উপ বন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। এর সঙ্গে জড়িত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ আইন অনুসারে বন বিভাগ বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে গাছ ক্রেতা মিজানুর রহমান এবং বিক্রেতা মোবারেক আলী আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
মন্তব্য করুন