নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চতুর্থ বিয়ের জন্য তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ভুয়া সনদ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই সনদ দিয়ে ভোটার তালিকায় তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহজাহানের তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন—ফতুল্লার শিহাচর এলাকার মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে শাহজাহান (৫০), কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আকতার ও ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার শিহাচর এলাকার মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে শাহজাহানের (৫০) সঙ্গে ৯ বছর আগে সীমা আক্তারের (৩৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে তিনটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। সীমাকে বিয়ের আগে শাহজাহান আরও দুটি বিয়ে করেছেন। ওই দুই বিয়ের বিষয় গোপন রেখে সীমাকে বিয়ে করেন তিনি। পরে পর্যায়ক্রমে নানা কৌশলে ওই দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন শাহজাহান।
এখন তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তারকে মৃত দেখিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আকতারের মাধ্যমে ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জুর কাছ থেকে মৃত সনদ গ্রহণ করেন শাহজাহান। সেই সনদ উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করে ভোটার তালিকায় সীমা আক্তারকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়। পরে স্বামীর জালিয়াতির বিষয়টি সীমা জানতে পেরে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু বলেন, তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন ভোটার হালনাগাদের জন্য প্রতিদিন আমার কাছ থেকে শত শত লোকের আবেদনে স্বাক্ষর নিতেন। তিনি যাচাই-বাছাই করে এসব আবেদন আমার কাছে নিয়ে আসতেন। আমি তাকে বিশ্বাস করে এসব আবেদনে স্বাক্ষর করে দিতাম। সেই সুযোগে শাহজাহানের আবেদনে সীমাকে মৃত দেখিয়ে শারমিন স্বাক্ষর নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী সীমা আক্তারের স্বামী শাহজাহানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের পর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন