আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা ও দলীয় পদ বিবেচনায় না নিয়ে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করায় এখন অনেকটাই কোণঠাসা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। তার পদত্যাগের দাবিতে চলছে লাগাতার আন্দোলন। তবে বিশ্লেষক মহল বলছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ক্রমাগত অভিযানে তছনছ হয়ে পড়েছে খুলনার আন্ডারওয়ার্ল্ড বা সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক। সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিদের পদপদবি না দেখে অপরাধকে বিবেচনায় নিয়ে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বেড়েছে তার দূরত্ব।
অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলনকারীদের স্মরণে মেলা আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ক্ষিপ্ত হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ ছিল এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে। গত ২৪ জুন কেএমপির ইস্টার্ন গেট এলাকায় স্থানীয়রা এসআই সুকান্তকে ‘মারধর’ করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে এসআই সুকান্তকে ২৬ জুন চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরও কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলছে।
এর নেপথ্যে জানা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ ও বিএনপির একটি পক্ষ বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্র করে কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ আমলে পদবঞ্চিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে আন্দোলনের শেষ পরিণতি কী হয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছে খুলনার মানুষ। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশের মতো খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভেঙে পড়ে। একের পর এক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে খুলনার মানুষ। কেএমপির সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর যোগদানের পর থেকে খুলনা মহানগরী এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত দুপক্ষের বিরোধে খুন হন সাতজন। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৬ জন। তদন্তে এসেছে আরও ৮৪ জনের নাম। আসামিদের কাছ থেকে বিদেশি রিভলবার উদ্ধার হয়েছে চারটি, রাইফেল উদ্ধার হয়েছে একটি, বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে ১৩টি, শুটারগান উদ্ধার হয়েছে একটি। এ ছাড়া দেড় কেজি স্বর্ণ ও ৩৩ হাজার পিস ইয়াবা এবং বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় খুলনার ১২ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। খুলনার সব থেকে আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে নুর আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এর আগে ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাড্ডি সাগরকে। তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়া, শাহারিয়ার রকি, মমি জোমাদ্দার, ইনছান শরীফ, আলী নুর ডাবলু, আলোচিত সন্ত্রাসী পলাশ শেখ, নুর আলম, ট্যাটু ইমরান, চিংড়ি পলাশ, ইমরানুজ্জামান ওরফে ব্লেড বাবু, শান্ত, সাকিবুর রহমান জিতু, আলিমুল ইসলাম, রাজু আহমেদসহ খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে খুলনায় আলোচিত সন্ত্রাসীদের মধ্যে গ্রেনেড বাবু ও আশিক এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করায় খুলনার আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক তছনছ হয়ে পড়েছে। যার ফলে কমিশনারকে অপসারণের আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের একটি পক্ষ মদদ দিচ্ছে।
গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলীয় পদ বিবেচনায় না নিয়ে অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করায় বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের একটি অংশ কমিশনারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। গত ১৬ জুন রাতে বিদেশি পিস্তল, ইয়াবাসহ সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন মুন্না, শরণখোলা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। ২০ জুন রাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ইয়াবাসহ ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল এবং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে কুয়েটে আন্দোলনরত ছাত্রদের মারধরের অভিযোগে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র, মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া এসব নেতার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খুলনার প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ছবি রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের একাধিক ফেসবুক পোস্টে বিএনপির ওই নেতার সমালোচনা করেন। নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির কিছু নেতার দূরত্ব তৈরি হয়। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনের সময় আগ্রাসী ভূমিকার অভিযোগে জনতার হাতে আটক এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে সংহতি জানায় বিএনপি। পরদিন চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও পুলিশ কমিশনারের অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ সম্মুখভাগে থাকলেও মূল আন্দোলন করছে বিএনপির কর্মীরা। সর্বশেষ খুলনা ব্লকেড কর্মসূচি পালনকালে জেলা বিএনপি ও রূপসা উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, পুলিশ কমিশনার যোগ দেওয়ার পর প্রতি মাসে খুলনায় একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেননি। বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মী আটক চলতি বছরের ১৪ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে খুলনার খালিশপুর বাস্তুহারা কলোনি থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নগর যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রায়হান তার সহযোগী কয়েকজনকে নিয়ে বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা বাপ্পীর বাড়িতে যান। তারা বাপ্পিকে ‘পতিত সরকারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের ধাওয়া দিয়ে আটক করেন। খবর পেয়ে খালিশপুর থানা-পুলিশ গিয়ে রায়হানসহ আটজনকে আটক করে।
গত বছর ১৬ অক্টোবর ওহিদুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সরদার মোস্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের, তাহমিদ রহমান, নাহিদ হাসান, এস এম শরিফ হোসেন ও ইমন হাওলাদার। এর মধ্যে তাহমিদ মোস্তাজাবুরের ছেলে ও অন্যরা তাহমিদের বন্ধু। ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা করেছেন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ, কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা ক্লাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল ও পাল্টা দখল নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের বিরোধ তৈরি হয়। পদত্যাগ ইস্যুতে বিভক্ত বৈষম্যবিরোধীরা কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ এবং মেলার আয়োজন ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে যখন আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। ঠিক সেই মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল শাহরিয়ারের নেতৃত্বাধীন অংশসহ আটটি সংগঠন বলছে এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আট সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু বিতর্কিত এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; সেহেতু এখন আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল শাহরিয়ারের নেতৃত্বাধীন একাংশ, রেড জুলাই, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স, জাস্টিস ফর জুলাই, ইনকিলাব মঞ্চ, আপ বাংলাদেশ, রংমশাল ও পুসাবের নেতৃবৃন্দ।
এতে লিখিত বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো যোদ্ধা আব্দুল্লাহ-আল সাফিন বলেন, ‘এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আমরা আন্দোলনে সরব হই। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলন সফল হওয়ায় আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসি; কিন্তু আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি, এখানো আমাদের গুটিকয়েক সহযোদ্ধাকে ব্যবহার করে একটি বিশেষ মহল ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে, যার দায়ভার কোনোভাবেই জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না। জুলাইকে ব্যবহার করে এমন কোনো কাজ করব না, যা জুলাই আন্দোলনকে বিতর্কিত করে। আর কেউ এমন কাজ করতে চাইলে আমরা তাদের প্রতিহত করব।’ তবে সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক তাসনিম ও মহানগর কমিটির সদস্য সচিব সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী, জহুরুল তানভীরসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে।
আগামী রোববারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল, সড়ক ও নৌপথ বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে তারা। পদবঞ্চিত ছিলেন আওয়ামী আমলে পতিত আওয়ামী আমলে পদবঞ্চিত ছিলেন খুলনার পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। বছরের পর বছর পদোন্নতি ও পদবঞ্চিত থাকা, জুনিয়রের অধীনে চাকরি করাসহ নানাভাবে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। ২০১৭ সালে এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকে সাত বছরে ব্যাচমেট সবাই অ্যাডিশনাল ডিআইজি ও ডিআইজি হওয়ার পরও তিনি ছিলেন পদোন্নতিবঞ্চিত। এসপি হিসেবে দীর্ঘ বছর চাকরি করার পরও কোনো জেলা দেওয়া হয়নি তাকে। বরিশালে দুই ব্যাচ জুনিয়র অফিসারের অধীনে চাকরি করতে হয় তাকে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ডিআইজি পদোন্নতি পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন খুলনায়।
কমিশনারের বক্তব্য কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, তালিকাভুক্ত ১২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রতিদিন অভিযানে অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে। বিভিন্ন হত্যা মামলার মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। এসব অনেকের পছন্দ হচ্ছে না। তারা ছাত্রদের একাংশকে ভুল বুঝিয়েছে। আমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ আছে। আমি আমার অফিসে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বসে আছি। একাধিকবার তাদের ডেকেছি; আসেন এসে কথা বলেন আমার ভুল থাকলে আমি শাস্তি পাব; কিন্তু আমার সঙ্গে কোনো আলোচনায় রাজি হয়নি তারা। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভাঙার ষড়যন্ত্র।
মন্তব্য করুন