কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জঙ্গি কার্যক্রমে নিয়োজিতরা শ্রম খাতে যুক্ত : মালয়েশিয়ার আইজিপি

মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খালিদ ইসমাইল। ছবি : সংগৃহীত
মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খালিদ ইসমাইল। ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় বিদেশি মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএসআই) নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা দেশটির বিভিন্ন শ্রম খাতে যুক্ত। তারা আইএসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ পাঠাত সিরিয়া ও বাংলাদেশে থাকা গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সেলে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করার পর তদন্তে এমনটা উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খালিদ ইসমাইল।

আইজিপি বলেন, আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম খাত থেকে, বিশেষ করে অভিবাসী সম্প্রদায় থেকে সদস্য নিয়োগ করেছিল। যারা বিভিন্ন কারখানা, পেট্রোল স্টেশন ও নির্মাণশিল্পে নিয়োজিত।

শুক্রবার (৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে (এফএমটি)।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদবিরোধী এক অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ৩৬ জন বাংলাদেশি, যারা সিরিয়া ও বাংলাদেশের ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেলগুলোকে অর্থায়ন করছিল বলে অভিযোগে উঠেছে।

মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, তারা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও নিয়োগ করেছিল, আন্দোলনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য ছিল।

আইজিপি আরও বলেন, সংগঠনটি সিরিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য অথবা আইএসের জন্য সদস্য নিয়োগের চেষ্টা করেছিল। তারা সিরিয়া, আইএস এবং বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল।

খালিদ বলেন, আন্দোলনটি মূলত টাচ এন গো, বিকাশ ও আন্তর্জাতিক মানি এক্সচেঞ্জ পরিষেবার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য তাদের প্রতি বছর ৫০০ রিঙ্গিত দিতে হবে এবং তাদের সামর্থ্য অনুসারে অবদান রাখতে হবে।

আইজিপি জানান, সন্ত্রাসী সংগঠনে অংশগ্রহণ, চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৬ক অধ্যায়ের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৫ জনকে নির্বাসনের জন্য অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধিকতর তদন্ত এবং বিচারের জন্য ২০১২ সালের নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের অধীনে ১৬ জন এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

ইউএস-বাংলা গ্রুপের ট্যাক্স বিভাগে চাকরির সুযোগ

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, যান চলাচল স্বাভাবিক

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পেল আর্জেন্টিনা

ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনে কতটা ঝুঁকিতে আমরা?

ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৭ শ্রমিক দগ্ধ

চলে গেলেন হলিউড কিংবদন্তি ডায়ান কিটন

সমাধান ও সফটওয়্যার শপের মধ্যে নতুন চুক্তি

১০০ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করতে যাচ্ছে এবি পার্টি

পাক সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন আফগানিস্তানের

১০

তিন মন্ত্রণালয়ের ৩ সচিবকে বদলি

১১

নতুন ধর্ম সচিব কামাল উদ্দিন

১২

খুলনায় শিশু হত্যায় জড়িত ফয়সালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

১৩

শিশু মিমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন শিমুল বিশ্বাস

১৪

পুয়ের্তো রিকো ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ পেল আর্জেন্টিনা

১৫

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে ঢাকার ডিসিকে জামায়াতসহ ৭ দলের স্মারকলিপি

১৬

ট্রুডোর সঙ্গে প্রমোদতরীতে ঘনিষ্ঠ কেটি পেরি

১৭

রাবিতে ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

১৮

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে বাঁচাতে চান হাবিপ্রবির সালমা

১৯

রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না : সিইসি

২০
X