সৌদি আরবে গাড়িচাপায় নুরুল হক ঝন্টু (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলায়।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় দুপুরে জুমার পর নাজরান নামক স্থানে একটি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ঝন্টু দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে প্রবাসী হন।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহতের ছেট ভাই এমদাদুল হক সাদ্দাম কালবেলাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তার দাবি এটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা।
নুরুল হক ঝন্টু নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসানপুর গ্রামের মো. আবদুল হকের ছেলে। বাড়িতে তার বাবা-মা, ভাইবোন, স্ত্রীসহ ছয় বছরের ছেলে ও ১৮ মাস বয়সী মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে ঝন্টু সবার বড়।
নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, জুমার নামাজের পর ফিলিং স্টেশনে কফিলের ভাতিজা গাড়িচাপা দিয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। পরে আশপাশের বাঙালিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
রোববার দুপুরে ঝন্টুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ভিড় করেছেন। বৃদ্ধ বাবা মো. আবদুল হক ও মা মোহছেনা খাতুন ছেলে হারানোর শোকে কাঁদছেন।
নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৫) বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলেই বলছেন, ‘আমি এখন কী করব। ছোট দুটি মাসুম বাচ্চা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব।’
ঝন্টুর বাবা মো. আবদুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। এ ছাড়া ছেলের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।’
নোয়াখালীর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। পরিবারের অভিযোগ পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন