নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম দাফন করা হয় মাইক্রোবাসচালক শাহাবুদ্দিনকে, তার নিজ গ্রামের মালিথাপাড়া কবরস্থানে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে দৌলতপুরের প্রাগপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় নিহত জাহিদুল ইসলামের ছোট বোন রওসনারা আক্তার ইতিকে (৪৮)।
একই সময়ে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেদবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জাহিদুল ইসলামের শাশুড়ি আনজুমান (৭৫) এবং শালিকা সীমাকে (৩৫)।
সবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ধর্মদহ গ্রামের ফরাজি পাড়া কবরস্থানে জানাজা শেষে পাশাপাশি চারটি কবর খনন করে একত্রে দাফন করা হয় জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫) এবং চাচাতো ভাবি আনোয়ারা খাতুন আনুকে (৫০)।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসে অবস্থান করা জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান এবং আনোয়ারা খাতুনের ছেলে সুইট রানা দেশে ফেরার পরই এই চারজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাদের নিজ নিজ গ্রামে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ধর্মদহ গিয়েছিলাম, চারজনের জানাজায় অংশ নিয়েছি। এলাকায় শোকের ছায়া, এ এক হৃদয় বিদারক ঘটনা।
মন্তব্য করুন