ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা।
রোববার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়নকে বিভিন্নভাবে অবহেলিত করে রাখা হয়। এখনো বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার এই চক্রান্তের মাধ্যমে এলাকার উন্নতি ব্যাহত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত আগের সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িযা-৩ (সদর-বিজয়নগর) ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো- বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর ইউনিয়ন। ভৌগোলিকভাবে ইউনিয়নগুলো উপজেলা সদরের নিকটবর্তী এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দ্বিখণ্ডিত বিজয়নগর প্রতিরোধ সর্বদলীয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. জাকির হোসন শাহ আলম, মো. হেলাল উদ্দিন, রাস্টু সরকার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সি, জিয়া উদ্দিন খাঁন নয়ন, মোহাম্মদ আলী, নুরুল হক নিয়াজ, হেফাজত নেতা মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আফজাল হোসেন, মুফতি এনামুল হক সুমন, নুরুল ইসলাম সর্দার, হাফেজ মোবাশ্বের হোসেন, মাওলানা কবির আহমেদ, মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা শিহাব সিদ্দিকী, জামায়াতে ইসলামী নেতা মোজ্জামেল হক, মো. শিহাব উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাঈদ খোকন, মো. খাবিরুল রহমান মনির, উপজেলা যুবদল নেতা আরাফাত, আক্তার হোসেন, কাশেম কিবরিয়া, দ্বিখণ্ডিত বিজয়নগর প্রতিরোধ সর্বদলীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সর্বস্তরের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানায় রদবদল এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ আগস্ট এ খসড়া তালিকার গেজেট প্রকাশ করে ইসি। সীমানায় রদবদল এনে খসড়া এ তালিকার ওপর ১০ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ, দাবি ও আপত্তি জানানো যাবে। ওইসব দাবি-আপত্তি শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন