নাটোরের গুরুদাসপুরে কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া ধর্ষণের শিকার সেই শিশুকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধর্ষিতা সেই সিজারিয়ান শিশুর দাদির হাতে আর্থিক অনুদান নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও ইউএনও শ্রাবণী রায়। এ সময় কর্মরত ডাক্তারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নাড়িবাড়ীতে থাকত দাদির কাছে সেই শিশু। শিশুটি গুরুদাসপুর উপজেলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিবেশী সম্পর্কে দাদা জাহিদুল খাঁর (৫২) লালসার শিকার হয় সেই শিশু। পরে ১১ বছর বয়সী শিশুশিক্ষার্থী ধর্ষণে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে প্রশাসন তার দেখভালের দায়িত্ব নেয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেই শিশুটির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। জন্ম দেয় ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান। এ খবরে নতুন পোশাক ও ফলমূল নিয়ে শিশুটির মা ও জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানকে দেখতে ছুটে যান ইউএনও শ্রাবণী রায়। চিকিৎসাধীন শিশু ও তার সন্তান উভয়েই সুস্থ রয়েছে।
ইউএনও শ্রাবণী জানান, আমি অবগত হওয়া মাত্রই শিশুটির যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব নিই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিজারিয়ানের পরবর্তীতে শিশুটির ও তার কন্যাসন্তানের চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
পরবর্তীতে সেই শিশুটিকে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। অসুবিধা হওয়া মাত্রই তাঁকে অবগত করার কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আটক ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করেন।
গত বছরের নভেম্বর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জাহিদুল। ধর্ষক একই গ্রামের কালু খাঁর ছেলে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান অভিযুক্ত। ব্যর্থ হলে গা-ঢাকা দেন। গত ১৮ জুন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর দাদি। ১০ মাস পর থেকে ২৫ আগস্ট পলাতক ধর্ষক ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন