নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুইপক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলা গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় দুইপক্ষই রূপগঞ্জ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আনোয়ারের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার যুবলীগের সভাপতি শফিকুলের নেতৃত্বে শ্যামল, মাসুম, জিপু শিকদার, মাহফুজ, আল-আমিন, রনি, জাকির, হৃদয়সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন পিস্তল ও দেশি অস্ত্র হাতে আব্দুল মতিন ও হামিদা বেগমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা শাহদাত নামে এক যুবকের বুকের ওপর পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে মারধর করে ও তার দোকান লুটপাট করে নিয়ে যায়। তা ছাড়া সন্ত্রাসীরা ফারিয়া নামে দেড় মাসের শিশুকে বুকের উপরে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
পরে রাত ১০টার দিকে যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আনোয়ারের লোকজনের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা মারামারি করেছে তারা সবাই আমার লোকজন। তবে আমার নেতৃত্বে হামলা-ভাংচুর হয়েছে এ বিষয়টি সঠিক নয়। আমি এলাকায় সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। এ ব্যাপারে আনোয়ারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষেরই পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন