নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার দায়ের করা মামলায় পাঁচ বছর আগের মৃত এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। নিজাম উদ্দিন দিপু (৫৩) নামে ওই ব্যক্তির ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট মৃত্যু হয়।
শনিবার (১৭ জুন) আদালতে পাঠানো মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নিজাম উদ্দিন দিপুর নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (১৬ জুন) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে বিএনপির ৯৩ জনের নাম উল্লেখ ও দুই থেকে আড়াইশজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাদীর দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত আসামি থাকলে সেটা তদন্তে আনা হবে।
মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারে যাওয়ার পথে তাকে তারা মারধর করে। আমার পকেটে থাকা সাড়ে ২৩ হাজার টাকাও নিয়ে যান তারা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি ফখরুল ইসলামকে মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আমি গত ৫ জুন থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বাইরে রয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় মিথ্যা মামলার নজির স্থাপন করল মামলাটি।’
মৃত আসামির ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন টিপু (৩২) কালবেলাকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন দিপু ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট মারা গেছেন। আওয়ামী লীগ যে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয় সেটা আরও একবার প্রমাণিত হলো।’
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনি কালবেলাকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি মামলা দিয়েছেন। এতে মৃত ব্যক্তি কেন আসামি হলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে, কলেজ গেট ও হাসপাতাল রোডে তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনসহ চারজন এবং পাল্টা হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেন আহত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন