বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক বশির আলমসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। পরে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অনিয়ম ও আসামির প্রতি বেআইনি সুবিধা প্রদানের অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। একই সাথে এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে পুলিশের বিছানায় বসে গ্রেপ্তার পৌর যুবলীগের সভাপতি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ানোর দৃশ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ওই ভিডিওতে যুবলীগ নেতা আরিফ-উল হাসানের সঙ্গে পুলিশ ব্যারাকের মধ্যে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং এক শিশুকে দেখা যায়। এ ছাড়া তাদের সাথে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক বশির আলমকেও দেখা যায়।
এ ঘটনার পর আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত কোর্ট পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘটনার দিন আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্তব্যরত সব পুলিশ সদস্যকে শাস্তিমূলক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন