দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্বামী মোতালেব হোসেনের সঙ্গে ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি করছিলেন শাহিনা আক্তার (৩০)। শহরের ব্যস্ত জীবন ছেড়ে গ্রামে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি। ভাবনা ছিল, গ্রামে এসে ব্যবসা বা কৃষিকাজ করে নতুন করে সংসার গড়ে তুলবেন। কিন্তু মালামাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন শাহিনা ও তার এক বছরের শিশু ছেলে ওয়ালিদ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে রংপুর নগরীর দমদমা এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় পিকআপ ভ্যানের সহকারী আরিফও (২০) মারা যান। আহত হন শাহিনার স্বামী মোতালেব হোসেন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নগরীর তাজহাট থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে রংপুর মহানগরের তাজহাট থানাধীন দমদমা সেতুর উত্তরে মালবাহী ট্রাকটি মাহিগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এ সময় রংপুর-ঢাকা অভিমুখে একটি বালুর ট্রাক পিকআপটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শাহিনা আক্তার, তার ছেলে ওয়ালিদ ও পিকআপের সহকারী আরিফ ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত শাহিনার বাড়ি রংপুরের পীরগাছার সাতদরগা এলাকায়। তার মামা খোরশেদ আলম জানান, ভাগ্নী শাহিনা ও তার স্বামী মোতালেব ১৫ বছর ধরে ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সম্প্রতি শাহিনা চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গৃহস্থালির মালামালসহ একটি পিকআপ ভ্যানে তারা স্বামী-স্ত্রী শিশুপুত্র ওয়ালিদকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাজাহান আলী বলেন, এ ঘটনায় সড়ক আইনে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের এক স্বজন মামলা করেছেন। নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন