ইসরায়েলের পারমাণবিক ও সামরিক প্রকল্প সম্পর্কিত লাখ লাখ পৃষ্ঠার নথি, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করার দাবি করেছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়। এসব তথ্য মূলত ইসরায়েলের ভেতরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তেহরানে পৌঁছেছে।
বুধবার রাতে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়, নথিগুলোতে ডিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্রসহ ইসরায়েলের অস্ত্র প্রকল্প, বিজ্ঞানীদের নাম, সংস্থার চার্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
ইরানি গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব জানিয়েছেন, কিছু তথ্য সরবরাহকারী আর্থিক কারণে, আবার কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরোধিতার কারণে সহযোগিতা করেছেন। তিনি নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন, যেসব কর্মী আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা চালাচ্ছেন তাদের জীবিকার বিষয় নজরে নিন।
উল্লেখ করা হয়েছে, এসব নথি এত বিস্তৃত যে সম্পূর্ণভাবে বিশ্লেষণ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। ইসমাইল খতিব আরও জানিয়েছেন, কিছু সহযোগী প্রকাশ পেয়েছে এবং তাদের মধ্যে কিছু দণ্ডিতও হয়েছে। জুন মাসে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েলের সংবেদনশীল কিছু স্থানে হামলাও চালিয়েছে ইরান।
ডকুমেন্টারিতে ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের পাসপোর্ট ও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত ছবি দেখানো হয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল আইএইএ মহাপরিচালককে নজরদারি করেছে।
এই তথ্যফাঁস ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইরান বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, কিন্তু পশ্চিমা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র তা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে। ইরানি কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা এই তথ্য প্রদর্শন করে ইসরায়েলের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে চায়। একইসঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় এটি কৌশলগত সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তথ্যসূত্র : প্যালেস্টাইন ক্রনিক, আল মায়েদিন, এশিয়ান জার্নাল অব অ্যাফেয়ার্স
মন্তব্য করুন