খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরান কবীর উদ্দিন।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
এদিন সকাল থেকে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে শুরু হয় সড়ক অবরোধ।
অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে অবরোধকারীরা। শহরের চেঙ্গী ব্রিজ, স্টেডিয়াম এলাকা, গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি যৌথ খামার এলাকায় পিকেটিং করে সড়কে টায়ারে আগুন দেয়।
অবরোধের ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাটিরাঙ্গায় শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কম। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল। অবরোধে ঢাকাসহ দূরপাল্লার নৈশকোচের অনেক গাড়ি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। তবে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আরিফ জানান, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অন্তত ২০০টির বেশি গাড়ি সাজেকে গেছে। যাতে প্রায় দুই হাজার পর্যটক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন