ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়া ও চীনের প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে; ইরানের ওপর নতুন করে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখতে চাইলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য দেশ তা অনুমোদন দেয়নি। ফলে বাংলাদেশ সময় রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
ইরান নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটে রাশিয়া-চীনের খসড়া প্রস্তাব, যাতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পিছিয়ে দেওয়া হতো, ৪-৯ ভোটে নাকচ হয়। দুটি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
ফলস্বরূপ, পশ্চিমা বিশ্ব এখন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে চাপ আরও বাড়াতে যাচ্ছে। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য অভিযোগ করেছে, ২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ফরাসি প্রতিনিধি জেরোম বোনাফঁ পরিষদে বলেন, “ইরান এমন কোনো গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি যা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারে। তবে কূটনৈতিক পথ এখনো খোলা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত এবং আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা না করা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
জাতিসংঘের রেজুলেশন ২২৩১ অনুযায়ী, এই সপ্তাহান্তে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে তা মানতে হবে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার জাতিসংঘ উপ-দূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি দাবি করেছেন, ইরান ইউরোপীয়দের সন্তুষ্ট করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো সমঝোতায় রাজি হয়নি।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেইস জানান, সপ্তাহজুড়ে নিউইয়র্কে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।
এছাড়া, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার চাপ ইরানের অর্থনীতির ওপর আরও ভারী প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন