

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর কার্যত ‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’তে পরিণত হচ্ছে। শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুমতি ছাড়া যে কোনো উন্মুক্ত অনুষ্ঠান, জমায়েত ও বিনোদনমূলক আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরজুড়ে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, ডিজে পার্টি, উচ্চ শব্দে গান-বাজনা, নাচ-গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি কিংবা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে রাস্তাঘাট, উন্মুক্ত স্থান এমনকি ভবনের ছাদও।
নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে এ সময়ে সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মহানগরের সব বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নগরের আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, ছোরা, লাঠি কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নববর্ষের দিন পতেঙ্গা সী-বিচ ও পারকি সমুদ্রসৈকতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, মাদকাসক্ত অবস্থায় চলাফেরা, নারী হয়রানি বা ইভটিজিংসহ যেকোনো ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিএমপি।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তা এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতেই এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্দেশনা বাস্তবায়নে নগরজুড়ে বাড়ানো হবে টহল ও নজরদারি। একই সঙ্গে নগরবাসীকে আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন