মৃৎশিল্পে অবদানের জন্য বরিশালে ১২ শিল্পীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর রজনীগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে ১৬তম দক্ষিণাঞ্চলীয় মৃৎশিল্পী সম্মেলনে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এর আগে সঙ্গীতাঞ্জলি, প্রান্তিক সংগীত বিদ্যালয়, চারুকলার শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মাননা অনুষ্ঠানে রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন প্রান্তের ৬৫ জন মৃৎশিল্পী অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন মৃৎশিল্পী সম্মাননা তুলে দেন শরীয়তপুর জেলার কাইলেরা গ্রামের কালীপ্রসন্ন পালের হাতে। তিনি বলেন, মৃৎ পণ্য যেমন ঐতিহ্যশালী তেমনি পরিবেশ সম্মত। আমরা যদি, এটি ব্যবহার করি তাহলে, মৃৎশিল্পীরা উপকৃত হবে।
এ সময় মৃৎশিল্পকে রক্ষায়, শিল্পীদের কাজের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. উদয় শঙ্কর বিশ্বাস বলেন, মৃৎশিল্পীদের বাঁচাতে হলে, আমাদের প্রতিদিনের জীবনচর্চায় এর ব্যবহার করতে হবে।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে সংগ্রামী সুধীর সেন মৃৎশিল্পী সম্মাননা (গুনরাজ বিভাগ)- সুজন চন্দ্র পাল, সাথী রাণী দে, মৃৎশিল্পী সম্মাননা (মৃৎপাত্র বিভাগ) রানী বালা পাল, শিক্ষক নারায়ণ সাহা মৃৎশিল্পী সম্মাননা পেয়েছেন (চিত্রিত হাড়ি বিভাগ-শখের হাঁড়ি) রাজশাহীর মৃৎশিল্পী সঞ্জয় কুমার পাল।
শহীদ জায়া বন্দনা গুপ্তা মৃৎশিল্পী বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন টাঙ্গাইলের শোভারানী পাল। বিমলা নাথ মৃৎশিল্পী সম্মাননা (চিত্রিত হাড়ি বিভাগ-মনসা ঘট) রুমা রানী পাল। মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটু বাবু) মৃৎশিল্পী সম্মাননা (মৃৎপুইন) পেয়েছেন যুবরাজ পাল। সুনিতি রানী দাস মৃৎশিল্পী সম্মাননা (মৃৎ পুতুল বিভাগ) পেয়েছেন ময়মনসিংহের খোকন চন্দ্র পাল। ফজিলাতুন্নেছা বেগম মৃৎশিল্পী সম্মাননা পেয়েছেন মায়া রানী পাল। শৈলবালা ঘোষ মৃৎশিল্পী সম্মাননা পেয়েছেন (গুনরাজ বিভাগ) গনেশ চন্দ্র পাল। মা মৃৎশিল্প স্মারক সম্মাননা পেয়েছেন উত্তম পাল ও দৈনিক শাহনামা মৃৎশিল্পী সম্মাননা পেয়েছেন গৈলা পালপাড়ার যুথিকা পাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেও সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার তৌফিক, প্রবীণ চিত্রশিল্পী ড. কাজী মোজাম্মেল হোসেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, নারী নেত্রী শাহ্ সাজেদা, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভানু লাল দে। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের আহ্বায়ক সুশান্ত ঘোষ।
মন্তব্য করুন