হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। রোববার এক বিবৃতিতে হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেলআবিব লক্ষ্যে নিক্ষেপ করেছে।
আনাদলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেলআবিব বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। হুথি মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদিন তেলআবিব ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলাত শহর লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন ছোড়েন তারা।
হুথিদের দাবি, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যা ও বিপজ্জনক আগ্রাসন’-এর জবাব হিসেবেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরও বলছে, গাজায় দমন-নিপীড়ন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ‘ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব’ হিসেবে এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে প্রতিহত করা গেছে এবং এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে ড্রোন হামলা প্রতিহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তারা কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এ হামলার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, ওই অভিযানে হুথিদের সদর দপ্তর, কমান্ড সেন্টার, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা শাখার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে ডজনখানেক যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ দাবি করেছেন, এই হামলায় ডজনখানেক হুথি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে হুথি-ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র দুজন নিহত এবং অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। ওই সময় হুথি নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুথি টেলিভিশনে সরাসরি ভাষণ দিচ্ছিলেন।
এভাবে হামলা-প্রতিহামলার পাল্টাপাল্টি পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা তৈরি করছে, যেখানে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন