প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে নয়; বরং ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত থাকতে চান শরীয়তপুরের মানুষ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সংগঠন ‘জাগো শরীয়তপুর’।
এ সময় জেলা ছাত্রদল, সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ভৌগোলিকভাবে ঢাকার চেয়ে ফরিদপুর শরীয়তপুর থেকে দূরে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর সেই সংযোগ আরও সহজ হয়েছে। তাই শরীয়তপুরকে কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচ এম জাকির বলেন, আমরা নতুন বিভাগ হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে শরীয়তপুর জেলা ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় এবং সব কর্মকাণ্ড ঢাকার সঙ্গে সহজতর হওয়ায় শরীয়তপুরের আপামর জনতা ফরিদপুর বিভাগে যেতে চান না। আমরা ঢাকা বিভাগেই আছি, ঢাকা বিভাগেই থাকতে চাই। আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, তৎকালীন সরকার গোপালগঞ্জকে প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই পাঁয়তারা করছে। আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি জনগণের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে আমরাও সরকারের বিপরীতে অবস্থান নেব।
মন্তব্য করুন