ট্রেনে যাত্রী হয়রানি ও প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) ব্যবহার করে যাত্রীদের টিকিট ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে দেওয়ার কোনো সামর্থ্য তাদের নেই। এরা মূলত প্রতারক। এদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেক যাত্রী হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা বিকাশ, নগদ বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, এমনকি পূর্বে ব্যবহৃত সিমকার্ড বন্ধ করে দেয়।
এতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের রেজিস্টার্ড একটি আইডি থেকে একক যাত্রায় সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করা যায়। এক্ষেত্রে আইডিধারী ব্যক্তির সহযাত্রীদের নামও ইনপুট দেওয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) ব্যতীত অন্য কোথাও ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে না। কোনো যাত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থান থেকে টিকিট ক্রয় করলে তিনি নিশ্চিতভাবে প্রতারিত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির আইডি ব্যবহার করে টিকিট ক্রয় করা হবে ঐ ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন ও ফটো সংবলিত আইডি কার্ডসহ তাকে ভ্রমণ করতে হবে। আইডিধারী ব্যক্তি ও টিকিটে উল্লিখিত সহযাএী ব্যতীত অন্য কেউ ভ্রমণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এতে বলা হয়, কোনো প্রতারকচক্র কোনো মাধ্যমে অন্য কাউকে টিকিট সংগ্রহ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বা অন্য কারও আইডি ব্যবহার করে ক্রয়কৃত টিকিট বিক্রির চেষ্টা করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার জন্য অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) সহায়তা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের হটলাইন ১৩১ নম্বরে ডায়াল করে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো যাবে। সব ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মন্তব্য করুন