চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টারে ভাড়া নৈরাজ্য! গলাকাটা বিল

চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হল। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হল। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামে বিয়েশাদি, গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, খাবার সরবরাহ ও সাজসজ্জার নামে নৈরাজ্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব ও লগ্নে এ নৈরাজ্যের মাত্রা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।

বুধবার (০১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন ক্যাব নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলে খাবার সরবরাহের নামে প্লেটপ্রতি গলাকাটা বিল আদায় হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে মালিকদের ইচ্ছামতো এসব অবৈধ ব্যবসা চললেও সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন কিংবা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি নেই। ভাড়া ছাড়াও গ্রাহকদের কাঁধে লাইট, ফ্যান ও চেয়ারের বাড়তি খরচ চাপানো হয়।

ক্যাব নেতারা আরও জানান, বর্তমানে চট্টগ্রামে ন্যূনতম ৩০০ অতিথির আয়োজন করতে চাইলে একটি কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া লাখ টাকার নিচে নেই। বড় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ভাড়া দাঁড়ায় ৫-৭ লাখ টাকায়। সাজসজ্জা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের খরচ বাধ্যতামূলকভাবে চাপানো হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিছু হলে খাবার সরবরাহও বাধ্যতামূলক, যার দাম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রান্নার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

এর সঙ্গে এলইডি, ভিডিওগ্রাফি, বিদ্যুৎ বিল এবং আসবাবের বাড়তি খরচ যুক্ত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে এই খরচ তিন থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কমিউনিটি সেন্টারগুলো অতিথির সংখ্যা অনুযায়ী বিল আদায় করলেও সরকারের নির্ধারিত ভ্যাট ফাঁকি দেয়। আয়োজকদের কাছ থেকে আদায় করা প্রকৃত খরচের তুলনায় কম ভ্যাট দেখানো হয়। এ ছাড়া খাবারে নিম্নমানের ঘি, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, সুগন্ধি কেওড়াজল ও রং মেশানো হয়, যা কোনো সরকারি তদারকির আওতায় নেই।

অনুষ্ঠান চলাকালে সড়কে সৃষ্ট যানজট নিয়ন্ত্রণেও এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেই, ফলে নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়ছে। ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভাড়া ও খরচ সরকারি নির্ধারণ এবং নিয়মিত তদারকি অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির সাথে বৈঠক / খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন, তিনটিতে একক প্রার্থী

কতজন প্রবাসী পোস্টাল ব্যালটের নিবন্ধন করেছেন জানাল ইসি

জামায়াত নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের নিন্দা এনসিপির

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত, জানাল ফায়ার সার্ভিস

নর্দান ইউনিভার্সিটির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

বিএনপি বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু করবে : আমীর খসরু

এমপি হলে সৎপথে ব্যবসার লাইন দেখিয়ে দেব : আজহারুল ইসলাম মান্নান

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ

১০

ইসলামবিরোধী আইন মেনে নেওয়া হবে না : মাওলানা রাব্বানী

১১

বাবার ঋণের দায়ে ছেলেকে অপহরণ, স্বপ্নভঙ্গ পরীক্ষার্থীর

১২

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমিরে জামায়াতের বৈঠক

১৩

ফাইনালে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

১৪

সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

১৫

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক নিয়ে নামবে ভারত

১৬

ভারত / মাতৃদুগ্ধে মিলেছে ইউরেনিয়াম, দাবি গবেষকদের

১৭

ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ / সেই সখিনা বেগমের জামিন

১৮

চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই : ড. রেদোয়ান

১৯

৪৭তম বিসিএস পেছানোর দাবিতে আবারো রেল অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

২০
X