নাটোরের লালপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইমো হ্যাকিং চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫টি ফোন ও ৫টি অতিরিক্ত সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া ও নাগশোষা গ্রামে এবং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া ও নওপাড়া গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইমো হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটকরা হলেন পানসিপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৪), শাজাহান আলীর ছেলে ওবায়দুর আলী (২৪), ফজলুর রহমানের ছেলে রাসেল আহমেদ (২০), নাজির প্রামানিকের ছেলে টুটুল আলী (১৬), মোহরকয়া গ্রামের আজগর মন্ডলের ছেলে এখলাছ মন্ডল (২৩), তসলিম আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (২২), জামরুল খান্দারের ছেলে আহমেদ আলী সাব্বির (১৭), নাগশোষা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মারুফ হোসেন (২৩), জটু সরদারের ছেলে রুবেল সরদার (২৫), শরিফুল ইসলামের ছেলে মুন আহমেদ (১৭), নওপাড়া গ্রামের মোসাব্বর হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০), বাবুল সরকারের ছেলে সোহাগ আলী (২৮)।
লালপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে ইমো হ্যাকিং চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করে লালপুর থানায় হস্তান্তর করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য যাচাইবাছাই শেষে টুটুল ও সোহাগকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে লালপুর থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন