বগুড়ার শিবগঞ্জে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার এক মাস পর প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মহির উদ্দিনের ছেলে মাহি ইসলাম (১৮), একই উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে শাহিনুর রহমান জিসান (১৯) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সৈকত (২০)।
পুলিশ জানায়, নিহত ইমরানের মামাতো ভাই জিসান (২০) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার দুই বন্ধু মাহি ইসলাম ও সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইমরানের মোটরসাইকেল চুরির পর বিক্রি করে ঋণ শোধ ও মাদকের টাকা জোগাড় করা। চুরির সময় ইমরান বাধা দিলে প্রথমে তাকে, পরে তার মা রাণী বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও মোটরসাইকেল লুট করে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গত ১৫ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা থেকে মাহি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মাহি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থেকে লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার সকালে ঢাকার খিলক্ষেত থানার ডুমনি বাজার এলাকা থেকে জিসান ও সৈকতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, চাঞ্চল্যকর মা-ছেলের হত্যা মামলার তিন আসামি আত্মগোপনে ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাজার এলাকায় এমনকি ছদ্মবেশে ওয়াইফাই সংযোগের লেবার হিসেবে কাজ করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিন অভিযুক্তই মাদকাসক্ত এবং বিভিন্নজনের কাছে ঋণগ্রস্ত ছিল। অর্থনৈতিক চাপ ও আসক্তির জালে পড়ে তারা এ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে শিবগঞ্জের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে রাণী বেগম (৪০) এবং তার ছেলে ইমরান হোসেনকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন