পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মাত্র তিন মাসে মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ৯ বছর বয়সী মাহদী হাসান। অল্প সময়ের মধ্যে কোরআনে হাফেজ হওয়ায় বিস্ময়কর সাফল্যে খুশি তার শিক্ষক, পরিবার ও সহপাঠীরা।
মাহদী হাসান ত্রিশাল পৌরসহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ ও শাপলা খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
কোরআনে হাফেজ মাহদী বলেন, অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।
মাহদীর বাবা রাজীব আহমেদ বলেন, আমার মা-বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে আলেম বানাবে। কিন্তু আমি হতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ কোরআনের হাফেজ হয়ে মাহদী আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য আপনাদের সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।
মাহদীর মা শাপলা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। তাতে আমি অনেক খুশি, হুজুরদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমার ছেলে যেন একজন ভালো আলেম হতে পারে।
মাহদীর দাদী মোছাম্মৎ রোকিয়া বেগম বলেন, আমার অনেক ইচ্ছা ছিল আমার ছেলেকে আলেম বানাব। কিন্তু আমি তা পারিনি, তাই আমি ছেলের ঘরের নাতিকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ ৯০ দিনে সে হাফেজ হয়েছে। আপনারা সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তারে বড় আলেম বানায়।
ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আবদুল হামিদ বলেন, মাহদী অল্প সময় নূরানি নাজেরা শেষ করে হেফজ বিভাগে সবক শুরু করে। সবক শুরু থেকে তিন মাসে অর্থাৎ মাত্র ৯০ দিনে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। মাহদী এমন মেধা অর্জনে আমরা গর্বিত। আমরা আশা করছি, মাহদী আন্তর্জাতিকভাবেও দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন