

গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কেবিএম ব্রিক্স (ইট খলায়) তাকে হত্যা করা হয়।
ফরিদ সরকার (৪১) গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন সরকার জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ফরিদ বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে গোসিংগার এবিএম ব্রিকসে্ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। গোসিংগা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) সবুজের মাধ্যমে জানতে পারেন ফরিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ খবর পেয়ে তিনি ইটভাটায় এসে দেখেন ফরিদ মাটিতে পড়ে আছেন। তার গায়ে ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। পরে তিনি তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেবিএম ব্রিকস কারখানার কর্মচারী জাকির হোসেন এবং মিনারুল জানান, রাত ২টার দিকে তারা ইট ভাটায় কাজ করছিলেন। এ সময় ফরিদ সরকার ইটভাটায় আসেন। রাত ৩টার দিকে ৪ জন লোক রাম দা এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে ইট ভাটায় এসে ফরিদকে এলোপাতাড়ি কাপায় ও পিটানো শুরু করে। আমরা ভয়ে পাশে লুকিয়ে থাকি। তখন শুধু কান্না এবং কোপানোর চিৎকার শুনতে পাই।
কেবিএম ব্রিকসের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) প্রদীপ সরকার জানান, আমি অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪টার দিকে তর্কাতর্কি এবং চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি একটি ছেলে অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় মেম্বারকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানালে ফরিদ সরকারের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) খোরশেদ আলম রফিক জানান, রাতে ইটভাটার ম্যানেজার আমাকে ফোন দিয়ে জানায় ফরিদ সরকারকে কারা যেন ভাটায় এসে কুপিয়ে ও পিটিয়েছে। তখন সে (ফরিদ) মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিল। পরে আমি ফরিদের ভাই সবুজ মেম্বারকে ঘটনাটি জানালে ফরিদের স্বজনরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহমদ জানান, ইটাখলায় এক যুবককে হত্যার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। ঘটনার কিছু আলামত পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ইটভাটার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছি।
মন্তব্য করুন