

পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ায় মফিজুল মৃধা নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার ২০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
নিহত মফিজুল লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ার জেরে স্থানীয় বিএনপি নেতা মফিজুল মৃধাকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে পাঁচ পুলিশ সদস্যের ওপরও হামলা হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তারা আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মফিজুলকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ২০ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মফিজুলের স্ত্রী রাবেয়া বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিল বলেই ওরা তাকে হত্যা করেছে। ওর কোনো দোষ ছিল না। আমার দুটি মেয়ে, তারা এখন কাকে বাবা বলবে?
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
মন্তব্য করুন