

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেছেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হলে উচ্চ আদালতের মামলার চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণে দুদিনব্যাপী ‘গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আফিয়া আখতার বলেন, গ্রাম আদালতের বিচারক হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাই কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা স্বজনপ্রীতি নয়—আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। গ্রাম আদালতে সঠিকভাবে বিচার কার্য সম্পন্ন হলে ভুক্তভোগীদের আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না। এতে যেমন আদালতের মামলার চাপ কমবে, তেমনি সাধারণ জনগণের ভোগান্তিও হ্রাস পাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রাম আদালত হলো ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ। এখানে যদি সঠিকভাবে বিচার হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও স্বল্প খরচে ন্যায়বিচার পাবে। এজন্য চেয়ারম্যানদের আইন জানা ও আইন মেনে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চেয়ারম্যানদের দক্ষতা বাড়লে গ্রাম আদালতের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি আরও সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের সমন্বয়কারী মারুফ আহমেদ, আর সঞ্চালনা করেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান।
হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রাম আদালত হলো গ্রামীণ জনগণের ন্যায়বিচারের সহজতম আশ্রয়স্থল। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হলে পক্ষপাতহীন ও ন্যায়সংগতভাবে বিচার করতে হবে। প্রশাসনের এই প্রশিক্ষণ আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম সম্পা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প’ এর আওতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সহযোগিতা করছে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।
মন্তব্য করুন